ঢাকা,শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

লামায় এমবিবিএস ডাক্তার বেতন নেয় কিন্তু হাসপাতালে আসে না !

hh মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

বান্দরবানের লামায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমবিবিএস ডাক্তাররা হাসপাতালে না এসে বেতন ও সরকারী সুযোগ সুবিধা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি যোগদানের সময় বছর পেরিয়ে গেলেও হাসপাতালে রোগী দেখা বা সেবা না দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে অনেকের বিরুদ্ধে। মাস শেষে ডাক্তারদের বেতন বিকাশের মাধ্যমে তাদের নিকট পাঠানো হয় বলে জানায় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত লোকজন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে লামা হাসপাতালে ৬জন এমবিবিএস ডাক্তার নিয়োগ রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. উইলিয়াম লুসাই, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শফিকুর রহমান মজুমদার, গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. মাকসুদা বেগম, ডেন্টাল সার্জন শ্রাবনী নাথ, সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডা. নজরুল ইসলাম ও ডা. মো. আবুল বশর সুফিয়ান। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. উইলিয়াম লুসাই, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শফিকুর রহমান মজুমদারকে হাসপাতালে দেখা যায়। সাপ্তাহে ২দিন আসেন সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডা. নজরুল ইসলাম। কিন্তু বাকি ৩জন ডাক্তার গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. মাকসুদা বেগম ৩১ জানুয়ারী ২০১৬ইং, ডেন্টাল সার্জন শ্রাবনী নাথ ২৪ আগষ্ট ২০১৬ইং ও ডা. মো. আবুল বশর সুফিয়ান ০১ জুন ২০১৬ইং যোগদান করলেও কখনও তাদের হাসপাতালে দেখা না যাওয়া ও রোগী সেবা না করার অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।

সরজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর রোগী লাইনে দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু সেবা দেয়ার মত ডাক্তার নাই। অপরদিকে গত ২৬ অক্টোবর থেকে ডা. মাকসুদা বেগম এর হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নাই। মাঝে মধ্যে এসে দীর্ঘদিনের স্বাক্ষর একসাথে হাজিরা খাতায় করে যান। ডা. মো. আবুল বশর সুফিয়ান এর যোগদানের পর থেকে প্রশিক্ষণের নামে অনুপস্থিত রয়েছেন। মাসের অধিক সময় অনুপস্থিত থেকে গত ২৯ অক্টোবর হাসপাতালে ফিরেছেন ডা. শ্রাবনী নাথ।

মাস শেষে হাসপাতালের হিসাবরক্ষক তাদের বেতন তুলে বিকাশের মাধ্যমে তাদের কাছে পাঠায় বলে জানা যায়। কতিপয় ডাক্তাদের অনিয়মের কারণে বাকী সকল কর্মকর্তা কর্মচারী অনিয়মের সাগরে ভাসছে। এছাড়া মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা না দেয়া, ঔষুদ কম দেয়া, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, নি¤œমানের খাবার পরিবেশন, ২টি এ্যাম্বুলেন্স নষ্ট করে রাখা ও ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী দিয়ে রোগীদের স্যালাইন, ইনজেকশন পুশ করার অভিযোগ রয়েছে।

বান্দরবান সিভিল সার্জন উদয় শংকর চাকমা জানান, আমি গত মাসে পরিদর্শনে গিয়ে অনুপস্থিত থাকার কারণে ডা. শ্রাবনী নাথ এর হাজিরা খাতায় লাল কালি দিয়ে অনুপস্থিত দিয়েছি এবং বেতন কাটতে বলেছি। অন্যান্য ডাক্তাররা অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমাকে জানায়নি। আমাকে জানালে আমি ব্যবস্থা নিব।

পাঠকের মতামত: